বিশেষ প্রতিনিধি: অতিবৃষ্টি, অকাল বন্যা ও পাহাড়ী ঢলে হাকালুকি,হাইল,কাউয়াদীঘি হাওরসহ মৌলভীবাজার জেলার ৭ উপজেলার ১৭ হাজার ৪শত ৩২ হেক্টর জমি পানির নিচে তলিয়ে যাওয়া, হাওরের ছোট বড় সব ধরণের ২৫ মেট্রিক টন মাছ ও পশুপাখির মৃত্যুতে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের সরকারিভাবে সহযোগীতা এবং মৌলভীবাজার জেলাকে দূর্যোগপূর্ণ জেলা ঘোষণার দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ১০টায় শহরের চৌমূহনা চত্বরে হাওর বাঁচাও কৃষক বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ এর উদ্যোগে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্টিত হয়।
সংগঠনের আহবায়ক প্রভাষক মাহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব হোসাইন আহমদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন, দৈনিক বাংলার দিন সম্পাদক বকসি ইকবাল আহমদ, ইম্পিরিয়েল কলেজের কো-অর্ডিনেটর সিতাব আলী, প্রভাষক সুমন আহমদ, প্রভাষক জসিম উদ্দিন, , আলিম উদ্দিন হালিম, সাদিকুর রহমান, এম এ সামাদ, বদরুল এইচ জুসেফ, কবি শেখ জুনেদ জামান,কবি সূর্য দাশ তপন প্রমুখ।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,সাংবাদিক এমদাদ হক, সাংবাদিক আব্দুল কালাম, সাংবাদিক বদরুল আলম চৌধুরী, শাহিন, জুবেল,এমরান, শাহ ফরহাদ, রাকিব প্রমুখ।
মানবন্ধনে হাওর বাঁচাও কৃষক বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক ১১দফা প্রস্তাবনা উত্থাপন করেন।
১. মৌলভীবাজার জেলাকে দূর্যোগপূর্ণ জেলা ঘোষনা করা।
২. ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের তালিকা তৈরী করে সহযোগীতা করা।
৩. হাওর পাড়ের এলাকায় ১০টাকা দরে সরকারি চালের বরাদ্ধ বৃদ্ধি করা।
৪. জেলেদের পূর্ণবাসন করা।
৫. হাকালুকি হাওরে মাছের সংকট কাঠিয়ে উঠার জন্য বিভিন্ন জাতের মাছের পোনা অবমুক্ত করা।
৬. হাওর এলাকার মানুষের স্বাস্থ্য ঝুকি থেকে মুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করা।
৭. পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া।
৮. আগামী আমন ও বোরো মৌসুমে কৃষকদের সহজ শর্তে ঋণ, বীজ ও সার প্রদান করা।
৯. কৃষকদের উন্নত প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তি ব্যবহারে সচেতন করা।
১০. রমজানে স্বল্প মূল্যে প্রয়োজনীয় দৈনন্দিন জিনিসপত্র সরকারিভাবে সরবরাহ করা।
১১. অল্প বৃষ্টিতে হাকালুকি হাওরে বন্যার প্রবনতা রোধ করার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে তদন্ত টিম গঠন করে তা চিহ্নিত করা ও সমাধান করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ হাতে নেয়া।