নিজস্ব প্রতিনিধিঃ- মুক্তিযুদ্ধের মতো মীমাংসিত বিষয়ে শুধু রাজাকার ও রাজাকার পরিবারের সন্তানেরাই প্রশ্ন তুলতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। এ নিয়ে তিনি বিএনপিকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনও অপচেষ্টা করা হলে দেশ ও স্বাধীনতাবিরোধী অপকর্মের জন্য আইনের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।
শনিবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন হানিফ।
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে জাতির মধ্যে কোনও বিভক্তি করা, অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার অশুভ চক্রান্ত সুফল বয়ে আনবে না। এই ধরনের অপচেষ্টা বন্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
হানিফ বলেন, বর্তমান সরকার যে পরিমাণ উন্নয়ন করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছে এই উন্নয়নের অগ্রযাত্রা দেখে বিএনপিসহ এই দেশের স্বাধীনতাবিরোধীদের মাথা নষ্ট হয়ে গেছে। উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। দেশের মানুষ এখনও যেভাবে শেখ হাসিনার প্রতি আস্থাবান রয়েছে, ভবিষ্যতেও আজীবন এই আস্থা ব্যক্ত করে যাবেন। এই আশঙ্কায় দেশকে অস্থিতিশীল করতে দেশের মধ্য নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি করে একটা গভীর ষড়যন্ত্রের জন্য এই ধরনের বিতর্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে।
স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের ওপর বিএনপি চেয়ারপারসন আঘাত করেছেন দাবি করে তিনি বলেন, ‘এজন্য খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে একটি রিট হয়েছে। দেশের সব নাগরিক ক্ষুব্ধ হয়ে তার (খালেদা) বিরুদ্ধে মামলা করতেই পারেন।’
আওয়ামী লীগ হয়রানির রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়, গণতন্ত্রে বিশ্বাসী জানিয়ে এই নেতা বলেন, ‘জিয়াউর রহমান ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও স্বাধীনতার বিশ্বাসঘাতক। খালেদা জিয়া এখন সাধারণ মানুষের কাছে ঘৃনার পাত্র হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। আগুনের সন্ত্রাসের রানী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। খালেদা জিয়া এই দেশে দুর্নীতির রানী হিসেবেও পরিচিত।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দলটির দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, কেন্দ্রীয় সদস্য এসএম কামাল হোসেন প্রমুখ।