ইতালি থেকে তুহিন মাহামুদ : বাংলাদেশ কন্স্যুলেট জেনারেল, মিলান এর আয়োজনে ২২ মার্চ ২০১৮ তারিখে কন্স্যুলে হলরুমে এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বৈধ পথে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদের’রেমিট্যান্স সম্মাননা ২০১৭’ প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য গত বছর কন্স্যুলেট কর্তৃক আয়োজিত বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধিকরণ বিষয়ক এক কর্মশালায় প্রথমবারের মতো ‘রেমিট্যান্স সম্মাননা’ চালু করার ঘোষনা প্রদান করা হয়।তদানুযায়ীপ্রথমবারের মতো ‘রেমিট্যান্স সন্মাননা ২০১৭ প্রদানের জন্য উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশী ও রেমিট্যান্স প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান সমূহের নিকট হতে দরখস্ত আহআান করা হয়।
প্রাপ্ত আবেদন বিবেচনাক্রমে দু’টি ক্যাটাগরিতে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়।সর্বোচ্চ রেমিট্যানন্স প্রদানকারী( ব্যক্তি) ক্যাটাগরিতে ০৭ সাত) জন প্রবাসী বাংলাদেশীকে এবং সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রেরণকারী (প্রতিষ্ঠান) ক্যাটাগরিতে ০৫ (পাঁচ) টি প্রতিষ্ঠানকে ‘রেমিট্যান্স সম্মাননা ২০১৭’ প্রদান করা হয়।সম্মাননাপ্রাপ্ত সকলের হাতে সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট তুলে দেন কনসাল জেনারেল মিজ্ রেজুনা আহমেদ।
কনসাল( শ্রম) মোহাম্মদ রফিকুল করিমের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত এ সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে মিলান ও তাঁর আশপাশের বিভিন্ন একচেঞ্জ হাউজের প্রতিনিধিবৃন্দ এবং স্টেকহোল্ডারগণ সহ মিলান প্রবাসী বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্হিত ছিলেন।
সম্মাননা প্রদান শেষে উপস্হিত অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে কিভাবে রেমিট্যান্স প্রবাহ আরো বাড়ানো যায় সে বিষয় একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।কর্মশালায় তাঁরা বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রেরণে তাদের প্রতিশ্রুতি পুন:ব্যক্ত করেন এবং এ বিষয়ে তাদের কিছু সুপারিশ তুলে ধরেন।অংশগ্রহণকারী সকলেই সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদের ‘রেমিট্যান্স সম্মাননা’প্রদান করার জন্য বাংলাদেশ কন্স্যুলেট জেনারেলকে ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানের সমাপনি বক্তব্যে কনসাল জেনারেল মিজ রেজিনা আহমেদ বলেব,বৈধ পথে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদের ‘রেমিট্যান্স সম্মাননা’প্রদান করতে পেরে নিজে সম্মানিত বোধ করছেন।তিনি আরো বলেন,প্রবাসী বাংলাদেশীদের কষ্টার্জিত রেমিট্যান্স প্রবাহ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে একটি অন্যতম চালিকা শক্তি।
এ রেনিট্যান্স দেশে বৈদেশিক মূদ্রার রির্জাভ বৃদ্ধি, চলতি হিসাবের ঘাটতি হ্রাস এআং সামগ্রিক অর্থনীতিকে স্হিতিশীল রাখতে সহায়ক হচ্ছে তিনি আরো বলেন বাংলাদেশ ইতিমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে।
এতে প্রবাসী আয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।তিনি বলেন এ অনন্য অর্জনকে টেকসই করতে হলে আমাদের আরো বেশী বেশী করে বৈধ পথে রেনিট্যান্স প্রেরণের মাধ্যমে সরকারের ভিশন ২০২১ এবং ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করতে হবে।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রমালিকানাধীন জনতা একচেঞ্জ এর ইন-চার্জ, বিভিন্ন মানি একচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিসহ প্রায় ৮০ জন স্টেকহোল্ডার অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠান শেষে অংশগ্রহণকারীদের নৈশভোজের আপ্যায়ন করা হয়।