বড়লেখা প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজারের বড়লেখায় দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র মাধবকুন্ড জলপ্রপাত পর্যটকদের জন্য রবিবার (২০ আগস্ট) থেকে খুলে দেওয়া হচ্ছে। প্রায় দুই মাস পর আজ (২০ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে জলপ্রপাতে প্রবেশের প্রধান ফটক পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়ার কথা রয়েছে। অতিবর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে মাধবকুন্ড ইকোপার্ক এলাকার টিলা ও রাস্তা দেবে গিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাওয়ায় গত ২২ জুন থেকে মাধবকুন্ড ইকোপার্ক ও জলপ্রপাত এলাকা পর্যটকদের জন্য অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল।
বন বিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অতিবর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে মাধবকুন্ড ইকোপার্ক এলাকার টিলা ও রাস্তা দেবে যায়। এতে পর্যটন এলাকাটি পর্যটকদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। ফলে দুর্ঘটনা এড়াতে বন বিভাগ গত ২২ জুন থেকে মাধবকুন্ড ইকোপার্ক ও জলপ্রপাত এলাকা পর্যটকদের জন্য অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে। এই ঘোষণার ফলে এতোদিন মাধবকুন্ড এলাকায় পর্যটকদের প্রবেশাধিকার ছিল না। এদিকে বন বিভাগ জরুরি ভিত্তিতে মাধবকুন্ড ইকোপার্ক এলাকা সংস্কার করেছে। সংস্কারের পর এলাকাটি ঝুঁকিমুক্ত হওয়ায় সিলেট বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আর এস এম মুনিরুল ইসলাম গত ১৬ আগস্ট তাঁর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে মাধবকুন্ড ইকোপার্কের রাস্তা দেবে গিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে সর্বসাধারণের প্রবেশাধিকার সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছিল। ইতিমধ্যে ইকোপার্কের জরুরি মেরামত কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। আজ রবিবার থেকে সীমিত পরিসরে পর্যটকদের জন্য ইকোপার্ক খুলে দেওয়া হবে। বিজ্ঞপ্তিতে পর্যটকদের ভ্রমণ করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
শনিবার (১৯ আগস্ট) মাধবকুন্ড ইকোপার্ক ঘুরে দেখা গেছে, মাধবকুন্ড পর্যটন রেস্তোরা এলাকার দেবে যাওয়া অংশ সংস্কার করে সেখানে সিঁড়ি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া টিলা ও জলপ্রপাতে নামার রাস্তার যে অংশ দেবে গিয়েছিল। সেখানে বালির বস্তা ফেলা হয়েছে। এছাড়া জলপ্রপাত এলাকায় পর্যটকদের বসার বেঞ্চ মেরামত, ইকেপার্কের ভেতরের রাস্তাসমূহ ও অন্যান্য স্থান স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় পরিস্কার করা হচ্ছে।
বন বিভাগের বড়লেখা রেঞ্জের সহযোগী রেঞ্জ কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন দাস গতকাল শনিবার (১৯ আগস্ট) বলেন, ‘রবিবার (২০ আগস্ট) পর্যটকদের জন্য গেট খুলে দেওয়া হবে। আপাতত ইকোপার্ক পর্যটকদের জন্য ঝুঁকিমুক্ত। পরে বিশেষজ্ঞ দল এসে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর তাদের পরামর্শক্রমে বৃহৎ প্রকল্প নেওয়া হবে। এরপর কাজ শুরু করা হবে।