শেখ জুনেদ জামানঃ বছরে কয়েক মাস গ্রাম ও হাওরে জলের দ্বারা অাচ্ছন্ন থাকে, সবকিছু যেন অাঁকা ছবির মত দৃশ্য, চারিদিকে সবুজের মত বিছানো। দাড়িয়ে অাছে ভিন্ন প্রকৃতির গাছ গাছালি। দেখতে দেখতে নৌকা ভ্রমণ চিত্তাকর্ষক ও অানন্দদায়ক কথা নিয়ে ভাবনা স্হির হলো। পূর্ব শেওয়াইজুড়ী, কাউয়া দীঘি , চাতল বিল, কান্দি হয়ে আমুয়া হয়ে সমাপ্ত করার , যেমনি কথা তেমনি কাজ!!
সেই প্রবাসী ভ্রমন বিলাসী লিয়াকত মিয়া (বাদল) আসলেই একজন ভ্রমণ বিলাসী ও সাদা মনের মানুষ। তাঁর মনের ইচ্ছা গরীব দুঃখী সব মানুষের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলা। সে শিক্ষানুরাগী ও সাহিত্যমনা মানুষ।অনাথ ও অসহায় মানুষদের সাহায্যের জন্য হাত বাড়াতে দ্বিধাবোধ করে না। সমাজে এই রকম মানুষদের প্রয়োজন। এই মানুষটিই সবাইকে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের ভ্রমণে যান। এর মধ্যে আজকের ট্রেন ভ্রমণ ও নৌকা ভ্রমণের কথা উল্লেখ করা হলো।রওয়ানা হলো মিরপুর ওয়াবদার সড়ক থেকে চাতল বিল হয়ে পূর্বদিকে রাজনগর থানার কাউয়াদিঘির পাশে অন্তেহরির বাজারে। চারিদিকে পানি আর পানি থৈ থৈ করছে।হিমেল বাতাস,মেঘাচ্ছন্ন আকাশ,শীতল পরিবেশ। হাওরটা যেন শাপলা শালুকে ভরা। কি মনোরম দৃশ্য! বাংলাদেশের প্রাকৃতিক পরিবেশকে যেন হার মানায়। হাওরে দু পাশের গ্রামগুলো কথা বলে ঠিক পূর্ব ইতিহাসের মতো।সবাই কিছুটা ক্লান্ত হয়ে হালকা খাবার খাওয়ার জন্য এক দোকানে উঠে নাস্তা করলো।চায়ের সাথে নিমকি খেয়ে ভালোই লাগলো। সেখানে খেয়ে কিছুটা আনন্দ-ফূর্তি করলো।বাজারের যে চারিপাশের অনুপম দৃশ্য তা তারা অবলোকন করলো।তারপর নৌকা ঘাটে ফিরে এসে গন্তব্যস্থলে পৌছাবার জন্য রওয়ানা দিল।ভাবতে লাগলো এসব এলাকা এতো আকর্ষণীয়, মনোহর ও মনোরম হতে পারে না তা না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না।মানুষ নীরস জীবনের অঙ্গন পেরিয়ে ভ্রমণে বেরোতে হয় নতুনত্বের সন্ধানী, বৈচিত্র বিলাসী এবং কৌতূহলী হওয়ার জন্য।ভ্রমণ মানুষের জ্ঞানের দিগন্তকে প্রসারিত করে এবং সাংস্কৃতিক মৈত্রী প্রতিষ্ঠিত করে। নির্মল আনন্দ ও উৎসব মানুষের সৌন্দর্য্য স্পৃহা বাড়িয়ে দেয়।