সিলেট: বিভাগীয় নগরী সিলেটে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে উদযাপিত হচ্ছে মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ঈদ উল আযহা।
শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল আটটায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে ঐতিহ্যবাহী শাহী ঈদগাহ ময়দানে। ঈদের জামাতে ইমামতি করেন বন্দর বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ কামাল উদ্দিন।
জামাতের আগে বয়ান পেশ করেন বন্দর বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মোশতাক আহমদ খান। নামাজ শেষে সৌদি আরবের মিনায় ৭১৭ জন নিহত হাজির রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
এখানে ঈদের নামাজ আদায় করেন সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরীসহ রাজনৈতিক নেতা, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, সামাজিক ব্যক্তি ও সুশীলসহ সর্বস্তরের মানুষ।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এবার দেশের বাইরে অবস্থান করায় তিনি এ ঈদগাহ মাঠে উপস্থিত থাকতে পারেননি।
গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মাঝেও শাহী ঈদগাহে বরাবরের মতো এবারও সহস্রাধিক মুসল্লি নামাজ আদায় করেন। মূল ঈদগাহ ছাড়িয়ে ঈদগাহ পার্শ্ববর্তী সড়কেও ঈদের নামাজ আদায় করেন লোকজন।
সিলেটের দ্বিতীয় বৃহত্তম ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল আটটায় হযরত শাহজালাল (র.) দরগাহ মসজিদে। একই সময়ে সিলেট কালেক্টরেট মাঠেও ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
নগরী সংলগ্ন কুশিঘাট গাজী বোরহান উদ্দিন (রহ.) মাজার ঈদগাহে সকাল সোয়া আটটায়, টিলাগড় শাহ মাদানী ঈদগাহ ময়দানে সকাল আটটায়, ঈদুল আলিয়া মাদ্রাসা ময়দানে সকাল সাড়ে সাতটায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
তাছাড়া নগরীর হাজী কুদরত উল্লাহ জামে মসজিদে সকাল সাড়ে সাতটায় প্রথম জামাত, দ্বিতীয় জামাত সকাল সাড়ে আটটায় এবং তৃতীয় জামাত সকাল সাড়ে নয়টায় অনুষ্ঠিত হয়।
ঈদের নামাজ আদায়ের পর মুসলিমরা মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে সাধ্যমতো পশু কোরবানি দেন। প্রত্যেক পাড়া-মহল্লায় বাসা-বাড়িতে পশু জবাই এবং মাংস বণ্টন শেষ হয়েছে।
ঈদের দিন শান্তিপূর্ণ ও স্বাভাবিক রাখতে নগরী ও আশপাশ এলাকায় র্যাব পুলিশসহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা তৎপর রয়েছেন।
ঈদ উপলক্ষে নগর ভবনসহ নগরীর বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ভবনে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার, ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, এতিমখানা এবং জেলা প্রশাসনের সমাজসেবা অধিদফতর পরিচালিত বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে।