মৌলভীবাজার;
শারদীয় দুর্গাপূজা নিরাপদ, শান্তিপূর্ন এবং আনন্দময় করতে পূজা মন্ডপের পরিচালনা কমিটি, পুজা ভক্ত ও দর্শনার্থীদের জন্য নিরাপত্তামূলক কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল) মো. আবু ইউসুফ।
২৬ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তিনি এ নির্দেশিকাগুলো জানান। এতে তিনি পূজা মন্ডপের ভিতরে এবং বাইরে ভক্ত এবং দর্শনার্থীদের চলাচলে বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন। নিম্নরোক্ত এ পদক্ষেপ গুলো গ্রহনে তিনি সকলের প্রতি অনুরোধ জানান।
পূজা মন্ডপের অভ্যন্তরে প্রবেশের সময় ব্যাগ, খাবার, পুটলা চেক করার ব্যবস্থা থাকা। মহিলাদের শালীনতার সাথে চেক করা। যে কোন ব্যক্তির সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ্য রাখার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত লোক রাখা। প্রবেশ পথ ও বাহিরের পথের আলাদা ব্যবস্থা রাখতে হবে।
পূজা মন্ডপের বাহিরে খুব নিকটে মেলা বসানোর ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। কিছু দোকান বসলেও তা নজরদারির আওতায় রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, মেলা থেকেই অধিকাংশ অনাকাঙ্খিত ঘটনার সূত্রপাত হয়। যানবাহন পার্কিং এর জন্য সাইনবোর্ড দেওয়া ভাল।
এছাড়াও অন্যান্য নির্দেশিকার মধ্যে রয়েছে, আজান এবং নামাজের সময় অনুষ্ঠান সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ রাখা, নিরবিচ্ছিন্ন আলোর জন্য জেনারেটর সম্ভব না হলে একাধিক চার্জার লাইট রাখা, রাস্তার বহুদূর পর্যন্ত আলোর ব্যবস্থা করা, সিসিটিভি স্থাপনের পাশাপাশি ‘অত্র এলাকার সিসিটিভি আওতাভুক্ত’ স্টিকারে টানিয়ে দেয়া, কন্ট্রোল রুম/ তথ্য কেন্দ্র স্থাপন করে ব্যানার টানিয়ে দেয়া, সমস্যা জানাতে সার্বক্ষনিক যোগাযোগের জন্য বিভিন্ন স্থানে মোবাইল নম্বর লিখে রাখা, সেচ্ছাসেবকের দায়িত্বের এলাকা এবং সময় নির্দিষ্ট করে দেয়া, বিশেষ চিহ্নযুক্ত পোষাক/ আইডিকার্ড সরবরাহ করা, তাদের করনীয়/ বর্জনীয় নির্দেশনা প্রদান করা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মোবাইল নম্বর বিভিন্ন প্রকাশ্য স্থানে টানিয়ে রাখা, ঝগড়া/ মারামারির ঘটনা মোবাইল ফোনে ধারন করা, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে কেউ ধর্মীয় অবমাননা করলে নিজে ব্যবস্থা না নিয়ে দ্রুত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানো, আপনার এলাকা মাদক, জুয়া এবং অশ্লীলতা মুক্ত নিশ্চিত করা, গভীর রাতে বাড়ী ফেরার সময় অপরিচিত ব্যক্তির গাড়িতে না চড়া, প্রয়োজনে পুলিশের সহায়তা নেয়া, বৃষ্টির সময় ব্যবহারের জন্য ছাতা সঙ্গে রাখা, কারো গতিবিধি সন্দেহজনক হলে সঙ্গে সঙ্গে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী/সেচ্ছাসেবককে অবহিত করা, খাবার/পানীয় গ্রহনে/ক্রয়ে সাবধানতা অবলম্বন করা, হকারদের বর্জন করে স্থায়ী দোকান থেকে খাবার/পানীয় ক্রয় করা, অপরিচিত লোকের দেয়া খাবার/পানীয় গ্রহন না করা, ব্যক্তিগত গাড়ি যথাযথ নিরাপত্তার সাথে রাখা, চালককে সর্তক থাকতে পরামর্শ দেয়া, সূর্যাস্তের পূর্বেই বিসর্জন সম্পন্ন করা।