বদরুল আলম চৌধুরী,সিলেট থেকে ফিরে: অসংখ্য মরমী কবি সাধকের দেশ সিলেট এ অঞ্চলের মানুষের আত্নার সাথে মিশে রয়ছে বাউল গান কবিতা। সেই সব মরমী সাধকদের গান কবিতা সুর ছন্দকে আত্নার খোরাক হিসাবে বেছেনিয়েছে সাধারণ মানুষ। সিলেট অঞ্চলকে বলা হয়ে থাকে আধ্যাতিক রাজধানী। আধ্যাতিক চিন্তা চেতনা থেকে পেয়েছে সটিক পথের দিশা। তাদের চেতনা অন্তরে ধারন করে বাউল গানের হাল ধরতে নিরলস চেষ্টা করে যাচ্ছে সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার থানার মেওয়া গ্রামের মেধাবী তরুণ যুবক আকিক চৌধুরী।
কথা বলতে গেলে তরুণ যুবক বলেন,একটু একটু করে এগিয়ে চলা আর কঠিন দুর্গম পথ বেছে নিয়েছি সেই ছোট বেলা থেকে। ছাত্র জীবন থেকে বাউল গানের কথা সুর খুব ভাল লাগতো। আর পড়ালেখার ফাঁকে ফাঁকে গানের আসরে যাওয়া বাউল গানের সাথে প্রেম। সেই থেকেই গান লেখা শুরু। ২০১০ সালে এসএসসি এবং ২০১২ সালে এইচএসসি পাশ করার মধ্যেস্থানে বাবার মৃত্যু হয় ডিগ্রী ভর্তি হয়ে আর পড়ালেখা হয়নি। হতদ্ররিদ পরিবারের বড় সন্তান হিসাবে হাল ধরতে হয় পরিবারের। অল্প বয়সে বাবা চলে যাওয়া এবং বাবার শূন্যতা আমার জীবনকে অনেক ভাবিয়ে তুলে। বাস্তবে মানুষের শূন্যতা এবং বাউল গানের কথা নিয়ে যায় আধ্যাতিক জগতে। মানুষের জন্ম এবং মৃত্যুর এই অপার লিলা খেলা চিন্তায় ফেলে দেয়।
সিলেট অঞ্চলের মরমী কবিদের গানের কথা উল্ল্যেখ করে বলেন,আসা যাওয়া সার হইয়াছে নিয়তির বিধানে,সোয়া উরিল উরিল জীবেরও জীবন,আল্লা ভবসমুদ্রে তরাইয়া লও মোরে,একদিন তোর হইবে মরন রে হাসন রাজা,ও ভাই রাখনি খবর,কুনো ব্যাঙের পেটের ভেতর থাকে অজগর,মাটির দেহের ধরবে পচন। এরকম অসংখ্য বাউল গানের কথায় সুরে মুগ্ধকরে নিয়ে যায় ভাবনার জগতে। কোন কাজে মন বসেনা চিন্তায় মগ্ন থাকতাম সেই সব চিন্তা চেতনা থেকে হাতে তুলে নেই কলম খাতা। লিখতে শুরু করি গান কবিতা লেখা।
২০১০ সালের দিকে সিলেটের তরুণ গীতিকার বাউল জি,এস বশরের হাত ধরে সিলেট সংগীত আঙ্গনে পথচলা শুরু। উস্তাদ জি,এস বশরের সানিধ্যে এসে আর পিছনে থাকাতে হয়নি। গুরুর দিক নির্দেশনা নিয়ে লিখে যাচ্ছেন গান। তার লিখিত জনপ্রিয় গান গুলো,ও মাওলা মিনতি বারে বার,শেষ খেয়াতে তরী আমার লাগাইও কিনার। ও মালিক মনে লাগে ভয়,আখেরাতের কাঠগরাতে হইওনা নির্দয়। মনে আমার দারুন খরা,গলেতে দুখেরই মালা। ও তুই আর আমায় কাঁদাইসনা রে বন্ধু,আমার সহেনা পরানে,দুঃখের বুঝি নাই অবসান আমার এ জীবনে। এরকম প্রায় দুই শতাদিক গান রচনা করেছে এই তরুণ গীতিকার। তার গান বড় কোন শিল্পীরা না গাইলেও স্থানীয় শিল্পীরা আন্তরিকতার সাথে গান গুলো গেয়েছেন এবং দর্শক শ্রোতাপ্রিয় হয়েছে।
তার গান গুলো নিয়ে পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি দরিদ্রতার কাঁটা তারে বন্ধি এর থেকে মুক্তি ও পাচ্ছিনা স্বপ্নের মুখ ও দেখতে পারছিনা। তবে দর্শকদের নিরাস করবনা এ বছরের শেষের দিকে বড় পরিসরে নতুন কিছু গান নিয়ে দর্শক-শ্রোতাদের সামনে আসার চেষ্টা করছি। যদি সবার দোয়া থাকে আমার সাথে। তার পিতার নাম মরহুম নূরুল ইসলাম (সোহাগ মাস্টার) এবং মাতার নাম সেলিনা আক্তার। এই তরুণ মেধাবী প্রচার বিমুখ গীতিকার নিরবে নিবৃতে রচনা করে যাচ্ছেন অসংখ্য গান তিনি সবার কাছে দোয়া প্রার্থী। তার বিশ্বাস সবার ভালবাসা এবং সহযোগীতা পেলে তার গান পৌছে যাবে সর্বস্থরের মানুষের অন্তরে।