ছাতক (সুনামগঞ্জ) সংবাদদাতাঃ ছাতকের গোবিন্দগঞ্জ মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেনীর ২১শিক্ষার্থীকে পেটানোর ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে সোমবার তদন্ত হয়েছে। তদন্তকালে ছাত্রছাত্রীদের অভিবাবকরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় তারা অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আতিকুর রহমানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও আগামী একদিনের মধ্যে এখান থেকে তাকে অপসারনের আল্টিমেটাম দিয়েছে। সুনামগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের নির্দেশে ছাতক প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ঘটনা তদন্ত করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি খালেদ হাসান, বর্তমান সভাপতি আজিজুল হক মেম্বার, সদস্য রইছ আলীসহ অভিবাবক ও এলাকার গন্যমান্য লোকজন উপস্থিত ছিলেন। এরআগে লাঠি পেটায় আহত ছাত্রছাত্রী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। আবেদনে প্রায় অর্ধশতাধিক আহত ছাত্রছাত্রীর তালিকা দেয়া হয়েছে। তদন্তকালে ছাত্রছাত্রীরা অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে চিরাচরিত নিয়মে তাদের অমানবিকভাবে পেটানোর লোমহর্ষক বর্ননা দেয়। ্এসময় তদন্ত কমিটিকে তারা আরো জানায়, রোববারে তাদের উপর যে পশুবৃত্তির ঘটনা তিনি ঘটিয়েছেন এটা নতুন কোন ঘটনা নয়। এভাবে তিনি নরপশুর ন্যায় প্রায় প্রতিদিনই তাদের উপর পশুবৃত্তি চালান। এসব ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রায় ৫শতাধিক ছাত্রছাত্রীর শরীরে তার লাঠি পেটার চিহ্ন রয়েছে। এসময় মাষ্টার আতিকের বিরুদ্ধে ছাত্রছাত্রীরা তার স্ত্রী পেটানোর কথা তদন্ত টিমের কাছে তুলে ধরে। এঘটনায় স্কুলের ৪২জন শিক্ষার্থী আহত হওয়ার কথা উল্লেখ করায় অভিবাবকরা আগামীকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত অভিযুক্ত শিক্ষককে অপসারনের জন্যে একদিনের আল্টিমেটাম দেন। নাহয় তারা কঠোর কর্মসূচি ঘোষনার ও হুশিয়ারি উচ্চারণ করে। এলাকাবাসী অভিযুক্ত শিক্ষককে মানসিক ভারসাম্যহীন দাবী করেছেন। জানা গেছে তার পিটুনী খেয়ে স্কুলের অনেক শিক্ষার্থী লেখাপড়া ছেড়ে দিয়েছে।
প্রধান শিক্ষক আতিকুর রহমান জানান, আমার রাগ উটায় আমি তাদেরকে মেরেছি। কিন্তু পরে কমিটির সামনে ক্লাসে গিয়ে তাদের কাছে ক্ষমা চেয়েছি। কিন্তু শিক্ষক তো, এজন্যে শুধু তাদের পায়ে ধরতে বাকি রাখিনি।
ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মানিক চন্দ্র দাসের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।