মায়ের কাছে আর ফেরেনি শিশুপুত্রটি। বুধবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ব্যাটমিন্টন খেলতে যাওয়ার কথা মাকে বলে র্যাকেট আর শাটল (কক) নিয়ে বাসা থেকে বেরিয়েছিল সাত বছরের আওসাফ গণি। তবে খেলা শেষে প্রতিদিনের মতো মায়ের কাছে আর ফেরেনি সে। বিকেল সাড়ে পাঁচটায় বাসার নিচের খোলা পানির ট্যাংকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেল তাকে। পাশে ভাসছিল শাটল। ঘটনাটি ঘটেছে চট্টগ্রাম মহানগরের চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার বি-ব্লকের ১১ নম্বর সড়কে। ওই সড়কের সাত তলা বিশিষ্ট ২৬২ নম্বর ভবনের বাসিন্দা ওয়েল হোল্ডিংস লিমিটেডের পরিচালক রাঙ্গুনিয়ার মরিয়মনগর ইউনিয়নের পূর্ব সৈয়দবাড়ি গ্রামের ব্যবসায়ি মো. ওসমান গণি। তাঁর শিশুপুত্র এই আওসাফ গণি।
ওই এলাকার বাসিন্দা এনামুল হক জানান, প্রতিদিনের মতো আওসাফ বাসার নিচে ব্যাটমিন্টন খেলতে যাবে বলে বেরিয়েছিল। কিন্তু পাঁচটার সময়ও না ফেরায় তাকে খুঁজতে থাকে আত্মীয় স্বজনরা। পরে তারা বাসার নিচে স্থাপিত পানির টাংকির ভেতর তার মরদেহ ভাসমান অবস্থায় পায়। টাংকির ঢাকনাটি খোলা ছিল। তিনি বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ এসেছে। আওসাফ গণির বাবা ঢাকায় অবস্থান করছেন, তাকে এখনও ছেলে মারা যাওয়ার কথা বলা হয়নি। তবে তাকে বাসায় সমস্যা হয়েছে এমন কথা বলে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে ঢাকা থেকে আসতে বলা হয়েছে। তিনি ঢাকা থেকে ফেরার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন।’ এ বিষয়ে চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজাহান কবির বলেন, শাটল নিতে গিয়ে পানির ট্যাংকে পড়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে শুনেছি। আমি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। তারা তার মৃত্যুর অন্য কোনো কারণ আছে কিনা তা তদন্ত করছে। রাত সাড়ে এগারটায় রাঙ্গুনিয়া উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন সম্পাদক পারভেজ হোসেন জানান, চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ মাঠে বুধবার রাতে প্রথম জানাযার নামাজ শেষে নিহত শিশু আওসাফের লাশ গ্রামের বাড়ি রাঙ্গুনিয়ার মরিয়মনগরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার যোহরের নামাজের পর জানাযা শেষে গ্রামের বাড়ির কবরস্থানে দাফন করা হবে। এঘটনায় নিহতের পরিবার ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।