বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার প্রার্থিতা বাতিলের বিরুদ্ধে যে রিট আবেদন হয়েছিলো – আজ সেটি খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ফেব্রুয়ারি মাসের আট তারিখ থেকে কারাবন্দী রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।
তারপর থেকেই আশংকা তৈরি হয়েছিলো তিনি আদৌ এবার নির্বাচন করতে পারবেন কিনা।
বাংলাদেশে উচ্চ আদালতের একটি রায় অনুযায়ী, “কোন প্রার্থী যদি ‘নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধে’ দোষী সাব্যস্ত হয়ে দুই বছরের বেশি মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত হন – তাহলে তিনি নির্বাচনে অংশ নেবার যোগ্যতা হারাবেন।”
অ্যটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলছেন এই একই কারণে আজ আদালতের তৃতীয় বেঞ্চও তার রিট খারিজ করে দেয়।
এই বিষয়টি মাথায় রেখেই প্রথমবারের মতো দলীয় প্রধানকে ছাড়াই নির্বাচনী প্রচারণাও শুরু করে দেয় বিএনপি।
তবে, ফেনী-১ এবং বগুড়া ৬ ও ৭ আসনে তার পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া হয়েছিল। একই সাথে চলতে থাকে আইনি লড়াই।
রিটার্নিং অফিসার শুরুতেই তার কারাদণ্ডের কারণে মনোনয়নপত্র বাতিল করে দিলে নির্বাচন কমিশনের কাছে আপীল করেছিলেন খালেদা জিয়া।
সেখানে শুনানির পর তার আবেদন ৪-১ ভোটে বাতিল হয়ে গেলে তিনি উচ্চ আদালতে যান।
সেখানে তিনটি আলাদা রিট করেছিলেন তিনি।
১৩ই ডিসেম্বর মঙ্গলবার খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন কি-না সে নিয়ে বিভক্ত রায় দেয় হাইকোর্ট বেঞ্চ।
এই রিট আবেদনের শুনানির পর সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের প্রতি অনাস্থা জানিয়েছেলেন তার আইনজীবীরা।
এরপর তার রিট তৃতীয় আর একটি বেঞ্চে পাঠানো হলে সেটিও আজ খারিজ করে দিয়েছে আদালত।
তবে এখনো উচ্চ আদালতের আপীল বিভাগে আপীল করার সুযোগ তার রয়েছে, বলছেন আইনজীবীরা।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম অবশ্য বলছেন, “আমি মনে করছি না যে আপীল বিভাগে গেলে সেখানে ভিন্ন কোন সিদ্ধান্ত পাবেন খালেদা জিয়া।”
বাংলাদেশে ৩০শে ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
সূত্র, বিবিসি