নিজস্ব প্রতিবেধকঃ- আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের কাছে ‘অভিযোগ’ করেছে বিএনপি।
বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মঈন খান বলেন, বৈঠকে পৌর নির্বাচনে সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের অবাধে আচরণবিধি লঙ্ঘন, বিনা কারণে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তার, সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের ভূমিকাসহ পৌর নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়।
তিনি বলেন, দেশে আজ কোনো গণতন্ত্র নেই। বিরোধীদল কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করতে পারে না। এর মধ্য দিয়ে আসন্ন পৌরসভা নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। আমরা দেখেছি বিনা ভোটে এখন পর্যন্ত সাতজন মেয়র ও প্রায় দেড়শ কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে গেছেন। এটা কি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ? এটা সম্ভব হয়েছে এই কারণে যে, পৌরসভায় একতরফা নির্বাচন হয়ে গেছে, সেখানে কোনো বিরোধী দলের প্রার্থীকে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে দেওয়া হয়নি।
নির্বাচন কমিশন নিয়ে মঈন খান বলেন, সরকার দলীয় এমপিরা হেলিকপ্টারে চড়ে এলাকায় গিয়ে তার মনোনীত প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা দেয়। আর কমিশন চুপ করে বসে থাকে। আমরা অবাক হয়েছি।
সুষ্ঠু পৌর নির্বাচন আয়োজন সম্পর্কে তিনি সরকারের উদ্দেশে বলেন, আমরা বিশ্বাস করতে চাই সরকার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে পৌর নির্বাচন করবে। যাতে করে দেশের মানুষ নিঃসংকোচে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে। তাহলে সেটা দেশের জন্যই কেবল নয়, আওয়ামী লীগের জন্যও মঙ্গলজনক হবে, তাদের ভাবমূর্তিও বাড়বে।
তবে বিদেশি কূটনীতিকদের কেউ বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেননি।
বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, রিয়াজ রহমান, ইনাম আহমেদ চৌধুরী, সাবিহ উদ্দিন আহামেদ, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন, যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও নির্বাহী কমিটির সদস্য জেবা আহমেদ খান।