কমলগঞ্জ থানার অন্তর্গত আলিনগর ইউনিয়নের যোগীবিল গ্রামের বাসিন্দা হারুন উর রশীদ (আর্মি-অব:) এর ফার্নিচার এর দোকানে কাঠক্রয়ের বৈধতার অজুহাত নিয়ে নিরীহ অবসরপ্রাপ্ত আর্মি ব্যবসায়ীর ফার্নিচারের দোকান থেকে ফার্নিচার নিয়ে যাওয়া, কাঠ আটকিয়ে রাখা ও মামলা দিয়ে অনৈতিকভাবে অর্থদাবী করছে কমলগঞ্জ থানার পুলিশ প্রশাসন।
পুলিশ “বাড়িওলা” কাঠের তৈরি ফার্নিচার কে অবৈধ বলে আটক করে এবং দারোগা ইকবাল ও আজিজ ৭০০০০/-টাকার ঘুষের বিনিময়ে ফার্নিচার হস্তান্তরের দাবি করছে। এ শর্ত না মানায় পুলিশ দোকানের সব ফার্নিচার নিয়ে যায় ও হারুনের নামে মামলার হয়রানির ভয় দেখাচ্ছে। আর স্থানীয় ইউপি সদস্য শামীম পুলিশকে এই বিষয়ে সর্বাত্বক সহযোগিতা করছে। হারুনুর রশিদের ছোট ভাই বলেন, কমলগঞ্জ থানার ওসির সাথে আলাপ হলে, ওসি বদরুল রাতে কথা বলতে চাইলেও বার বার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করছেন না।
স্থানীয়ভাবে জানা যায় ফার্নিচারে ব্যবহার করা কাঠ গ্রাম থেকে সংগ্রহ করা আকাশি কাঠ। নির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই পুলিশ যাবতীয় ফার্নিচার নিয়ে যাওয়া ,পুলিশের মোটা অংকের টাকা দাবি সম্পূর্ণ অনৈতিক এবং হয়রানি মূলক। পুলিশের দাবি না মানায় ঐ রাতেই মামলা এফায়ার করে এবং টাকা না দিলে এরেষ্ট করবে বলে ফোন করে এস আই ইকবাল হারুন কে ভয় দেখাচ্ছে।
এভাবে আর কতদিন চলবে কমলগঞ্জ থানা পুলিশের দুর্নীতি ও নিরীহ মানুষকে হয়রানি? দু:খ হয় যে কমলগঞ্জে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা ও কারা মহাপরিচালক আইজি “প্রিজন” সৈয়দ ইফতেকার উদ্দিনের জন্মস্থান সেখানেই এতবড় অত্যাচার? আমরা স্থানীয় প্রশাসনের কাছে এই হয়রানি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবি করছি এবং সেই সাথে কাঠসহ বিয়ের ওর্ডারের ফার্নিচার ফেরত দেবার দাবি করছি। আইনের শাসনের প্রতিষ্ঠার জন্য এবং নিরীহ ব্যবসায়ীদের নির্বিঘ্নে ব্যবসা করার জন্য এটা অতীব জরুরী।