বিজ্ঞপ্তিঃ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, সম্প্রতি নাসিরনগরে হিন্দুদের ওপর হামলা-নির্যাতনের ঘটনায় সরকারি দলের যে মন্ত্রী-এমপি জড়িত তাদের বিরুদ্ধে সরকার কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। তাছাড়া বর্তমান সরকারের আমলে সারাদেশেই হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। আপনারাই সেকথা বিভিন্ন ফোরামে তুলে ধরছেন। এরপরও আপনারা কেন ‘একটি বিশেষ দলের ভোট ব্যাংক’ হিসেবে চিহ্নিত থাকার অপবাদ বয়ে বেড়াবেন?
আজ রবিবার গুলশান-১,ইমানুয়েলস কনভেনশন সেন্টারে জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে জাতীয় পার্টির উদ্যোগে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট নাগরিকদের সম্মানে
আয়োজিত শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে এরশাদ এ কথা বলেন।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ বলেন, আমার শাসনামলে ভারতে বাবরি মসজিদ ভাঙ্গাকে কেন্দ্র করে আমাদের এখানে একটি পত্রিকার উস্কানীতে কিছুসংখ্যক মন্দিরে হামলা হয়েছিল। আমি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছি। ওই পত্রিকা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। সবকটি ক্ষতিগ্রস্ত মন্দির আমরা সংস্কার করে আগের অবস্থানে ফিরিয়ে নিয়েছিলাম।
সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, বর্তমানে সারাদেশে আমাদের পার্টির ৩৪ জন এমপি আছেন, যে এলাকায় আমাদের এমপিরা দায়িত্বে আছেন সে এলাকায় সংখ্যালঘুদের কোনো বাড়িঘর মন্দিরে কেউ হামলা করতে পারেনি। আগামীতেও পারবে না।
তিনি বলেন, বর্তমানে সরকারের উচ্চপদে হিন্দু সম্প্রদায়ের যারা দায়িত্বে আছেন তাদের সবাইকে আমিই নিয়োগ দিয়েছি। কিন্তু গত ২৬ বছর যারা ক্ষমতায় ছিল তারা আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হলেও আপনাদের সম্প্রদায়কে চাকরিতে সুযোগ দেননি।
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য ৩০টি সংরক্ষিত আসন রাখার দাবি জানিয়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ বলেন, বর্তমান সংসদে মহিলাদের জন্য ৫০টি সংরক্ষিত আসন আছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টানসহ অন্যান্য সম্প্রদায়ের জন্য ৩০টি আসন সংরক্ষিত রাখা হবে। এজন্য জাতীয় পার্টি সংসদে প্রস্তাব দেবে। আশা করছি তা সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে পাস হবে।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়ের সভাপতিত্বে ও সখ্যালঘু বিষয়ক উপদেস্টা সোমনাথ দে এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন, জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জি.এম কাদের, মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, এসএম ফয়সল চিশতি, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা, মেজর খালেদ আখতার (অব.), উপদেষ্টা রেজাউল ইসলাম ভূইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নুরু, বাহাউদ্দিন আহমেদ বাবুল, মোঃ সফিকুল ইসলাম সেন্টু, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার রানা দাশগুপ্ত, বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জয়ন্ত সেন দিপু, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের সদস্য সচিব নকুল চন্দ্র সাহা, জাপার কেন্দ্রীয় নেতা তরুণ বসু, সুজন দে, সৈয়দ ইফতেকার আহসান হাসান, মিজানুর রহমান মিরু, আজহারুল ইসলাম সরকার, প্রমুখ।