এন.আই. মিলন, দিনাজপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুরের বীরগঞ্জের ১ মাদ্রাসার ছাত্রকে পঞ্চগড়ের তেতুঁলিয়ার বুড়াবুড়ি দারুল উলুম নুরানী ও হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক যৌন নির্যাতন করায় রক্তক্ষরনের কারনে মুমুর্ষ অবস্থায় দিমেক হাসপাতালে ভর্তি করে।
যানা যায়, বীরগঞ্জ উপজেলার পাল্টাপুর ইউনিয়নের কাজল গ্রামের হাজীর মজনু পুত্র হাফেজ আব্দুর রহিম পাশ্ববর্তী সাদুল্লাপাড়া গ্রামের মোঃ আলম হোসেনের পুত্র মোঃ রমজানুল হক রূমন (৯) সহ ৭ শিশুকে মাদ্রাসায় পড়ানোর জন্য অভিভাবকের নিকট হতে ৩ মাস পূর্বে লিল্লাহ বোডিংয়ে রেখে পবিত্র কোরআন শিক্ষা দেওয়ার জন্য পঞ্চগড় জেলার তেতুঁলিয়া উপজেলার বুড়াবুড়ি দারুল উলুম নুরানী ও হাফিজিয়া মাদ্রাসায় নিয়ে যায়। সেখানে মাদ্রাসার শিক্ষক শিশুদেরকে দিয়ে শরিল ম্যসেজ করে নেয়। তারই সুযোগে
লম্পট শিক্ষক শিশুদের সাথে যৌন নির্যাতন (বলৎকার) করে। শিশু গুলি অসুস্থ হয়ে পড়ার সংবাদ পেয়ে অভিভাবকেরা মাদ্রসায় গিয়ে শিশুদের বাড়ীতে নিয়ে এসে বীরগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে গত ১৭ এপ্রিল ভর্তি করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন।
চিকিৎসাধীন মাদ্রাসার ছাত্র শিশু রুমন জানায়, এরুপ ঘটনা আরো ছাত্রে আরমান (১০) ও ফুল মিয়া (১২) এর সংগে করেন হুজুর। তা জানা জানি হলে তিনি মাদ্রাসা হতে পালিয়ে যায়।
আবাসিক মেডিকেল অফিসার মাহামুদুল হাসসান পলাশ গত ২৩ এপ্রিল রবিবার জানায়, শিশুটিটিকে বলৎকার করার কারনে মলদ্বার ক্ষত ও রক্তক্ষরনের কারনে ঘায়ের সৃষ্টি ও পেটে ময়লা জমে জটিল সমস্যা হয়েছে। তাই শিশুটিকে দ্রুত দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।
মাদ্রসার সভাপতি তারেক চেয়ারম্যান সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মাদ্রসার কর্তৃপক্ষ অনৈতিক চরিত্রের কারনে হাফেজ আব্দুর রহিমকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
অসুস্থ শিশু রুমনের অভিভাবক আলম হোসেন জানায়, অভিযুক্ত হাফেজ আব্দুর রহিম বাড়ি থেকে পালিয়ে আত্মোগোপন করে আছে। তিনি হাফেজ আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
অগ্রদৃষ্টি.কম // এমএসআই