স্টাফ রিপোর্টার : কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থী সোহাগী জাহান তনু হত্যার বিচার প্রচলিত আইনেই সম্ভব বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, প্রচলিত আইনে বড় বড় মামলার বিচার হতে পারলে তনু হত্যার বিচার কেন হবে না।একই সঙ্গে যার যার কাজ তাকেই করতে পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে তনু হত্যা বিচার, আইন ও সংসদ নিয়ে প্রধান বিচারপতির সাম্প্রতিক এক বক্তব্যের ওপর অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন-সংক্রান্ত দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেন,তনু হত্যার ঘটনা একটি আধুনিক অপরাধ। পুরনো ফৌজদারি আইন দিয়ে এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার সম্ভব নয়। এ ঘটনার তদন্ত করতে হবে নতুন ডিজিটালাইজইড পন্থায়। যতই আমরা মিছিল করি না কেন, পুরনো আইন দিয়ে তা সম্ভব না।মন্ত্রিসভার একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তনু হত্যা প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতির দেয়া সাম্প্রতিক একটি বক্তব্য নিয়ে আলোচনা হয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে। আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক বড় বড় মামলা প্রচলিত আইনেই বিচার হচ্ছে। তনু হত্যার বিচার কেন সম্ভব হবে না।
প্রচলিত আইনে তনু হত্যার বিচার সম্ভব নয়, প্রধান বিচারপতির এমন বক্তব্য খতিয়ে দেখতে আইনমন্ত্রীকে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।তবে আইনমন্ত্রী ও আইনসচিব দুজনই জানান, প্রচলিত আইনেই তনু হত্যার বিচার সম্ভব।সংসদে আইন প্রণয়ন-প্রক্রিয়ার শুদ্ধতার প্রশ্নে প্রধান বিচারপতি বক্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সংসদ কিংবা আইন প্রণেতারা অজ্ঞ নন। রাষ্ট্রযন্ত্রের অঙ্গগুলোর যার যে কাজ, তার সেটাই করা উচিত। যার যার কাজ তাকে করতে পরামর্শ দেন তিনি।শনিবারের অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, “একটা বিষয় আমাদের খুব পীড়া দেয়। যখন সংবিধানে সংশোধনী আনা হয় কিংবা আইন প্রণয়ন করা হয়, সেগুলো কিন্তু আইন সভায় সে রকম আলোচনা হয় না। আইনের উদ্দেশ্য অনুধাবন করার জন্য আমরা যখন সংসদীয় বিতর্ক নিয়ে আসি, আমরা কিন্তু কিছুই পাই না। ” তিনি আরো বলেন, “আমাদের আইন প্রণেতাদের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হলো আইন বিষয়ে অজ্ঞতা। আমাদের আইন প্রণেতাদের অজ্ঞতা থাকতে পারে, আমারও অজ্ঞতা আছে।