ডেস্ক নিউজ : বিএনপি নাকে খত দিয়ে নির্বাচনে যাবে না বরং সরকারকেই গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে বাধ্য করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে দাম্ভিকতা আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, এই আচরণ দিয়ে ভবিষ্যতে দেশ শাসন করা যাবে না।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাতে রাতে দলের গুলশানের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য তিনি এ মন্তব্য কারেন।
তিনি বলেন, নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়া একটি রাজনৈতিক দলের অধিকার। বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষিতে নাকে খত দিয়ে বিএনপির নির্বাচনে যাওয়ার প্রশ্নই উঠতে পারে না। বরঞ্চ বর্তমানে যারা সরকারে আছেন, তাদের বাধ্য হতে হবে সব রাজনৈতিক দলগুলো যেন নির্বাচনে আসে তার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করতে। এটা শুধু বিএনপির কথা নয়, এটা সমগ্র দেশের জনগণের কথা।
তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে দশম সংসদ নির্বাচন বর্জনকারী বিএনপি এখন নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনের দাবি করছে। এ বিষয়ে সমঝোতার জন্য আলোচনায় বসতে দলটির নেতারা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে এলেও তাতে সাড়া দিচ্ছে না ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, আজকের সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের কাছ থেকে এই প্রশ্ন এসেছে যে, এটা (নির্বাচন) সবচেয়ে বড় সংকট হয়ে দেখা দিয়েছে। সব দলের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান করা। সেটা নিরপেক্ষ একটা সরকারের অধীনে নির্বাচন করা- এই প্রশ্নটা জাতির সামনে বড় হয়ে দেখা দিয়েছে।
এখন ঔদ্ধত্য ও দাম্ভিকতা- এটা দিয়ে তো ভবিষ্যতে দেশ শাসন চলবে না। দেশকে এগিয়ে নেয়া যাবে না, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়া যাবে না।
বিএনপি সংঘাত এড়িয়ে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনের মাধ্যমে ‘ক্ষমতা হস্তান্তর চাইছে’ জানিয়ে তিনি বলেন, যদি প্রধানমন্ত্রী দায়িত্বশীল নেত্রী হন, তাহলে অবশ্যই তাকে এদিকেই চিন্তা করতে হবে এবং জনগণের মনের আশা-আকাঙ্ক্ষাটা বুঝতে হবে। সেভাবেই তাকে কাজ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনারই দেশে নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টির দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এসময় বিএনপি চেয়ারপারসনকে ক্ষমা চাইতে হবে-প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল ইসলাম।