রোববার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় বাংলাদেশের মুসলমানরা ঈদুল ফিতর উদযাপন করবে সোমবার।
আবহাওয়াবিদ আব্দুল মান্নান বলছেন, বর্ষা মৌসুমের দ্বিতীয়ার্ধে এসে মৌসুমী বায়ু এখন কিছুটা কম সক্রিয়। তারপরও রাজধানীসহ দেশের কিছু এলাকায় ঈদের দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে।
এবার আষাঢ়ের শুরুতে টানা বর্ষণে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে পাহাড় ধসে দেড় শতাধিক লোকের প্রাণহানি ঘটে। তবে গত কয়েকদিনে আবহাওয়ার বেশ খানিকাটা উন্নতি হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় সোমবার সকালে ঈদের নামাজের সময় রাজধানীতে ঝলমলে রোদের আশা দেখাচ্ছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, খুলনা, বরিশাল, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুয়েক জায়গায় সোমবার অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তবে কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণও হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ আব্দুল মান্নান বলেন, “ঢাকায় আবহাওয়া মোটামুটি ভালো থাকবে আশা করা যায়। ঈদ জামাত বিঘ্নিত হওয়ার শঙ্কা তেমন নেই। তবে বর্ষা মৌসুমে বিকালে কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টি হলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। রংপুর, সিলেট ও উপকূলীয় এলাকায় সকালেও বৃষ্টি থাকতে পারে।”
রোববার বরিশাল, খুলনা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে। ঢাকা বিভাগের ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জে ১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এদিন দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে সিলেটে, ৪০ মিলিমিটার।
মঙ্গলবার থেকে পরের কয়েকদিন বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে বলে আভাস দেন আব্দুল মান্নান।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত লঘুচাপটি বর্তমানে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ ও উড়িষ্যা উপকূলে অবস্থান করছে । মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর কম সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র দুর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় বিরাজ করছে।
ঈদের আগের কয়েকদিন আবহাওয়া ভালো থাকায় ঢাকা থেকে ঘরমুখো মানুষের দুর্ভোগ কম হয়েছে। তবে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়লে ঈদের ফিরতি যাত্রায় দুর্ভোগ পোহাতে হতে পারে।